হুমায়ুন রশিদ জুয়েল ঃকিশোরগঞ্জে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ গাছের ছায়া কিংবা ছুটছে শীতল কোন স্থানে। গরমের কারণে বাড়ছে জ্বর, ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, সহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব। হাসপাতালে বাড়ছে নানা রোগীর সংখ্যা। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের আকাশে বয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ভ্যাপসা গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কর্মজীবী মানুষসহ শিশু । বেলা বাড়ার সাথে সাথেই যেন আগুন ঝড়াতে থাকে সুর্য। রাত দিনের তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে বাড়ছে রোগীর সংখ্যাও। হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় জ্বর, ঠান্ডা, ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্ট জনিত কারণে অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগী আসছে চিকিৎসার জন্য।
বিশেষ করে দেখা গেছে শিশু ওয়ার্ডে যেখানে ২০টি শয্যায় ২০জন শিশু চিকিৎসা পাওয়ার কথা, সেই ক্ষেত্রে ৬২ জন শিশু চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, শিশুর রোগীর সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতি শয্যায় দুই থেকে তিনজন করে শিশু গাঁদাঘাদি করে থাকতে হচ্ছে,এমনটা জানিয়েছেন হাসপাতালের নার্সেরা । এরপরেও যতা সম্ভব চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকগন। চিকিৎসার পাশাপাশি তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার পাশাপাশি পানি, স্যালাইন ও স্বাস্থ্য কর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিভাগে চিকিৎসারত মেডিকেল অফিসার বৃন্দ।
এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ডি ডি ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ ও আর এম, ও, ডাঃ দেবাশীষ এর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, তীব্র গরম ও তাপ দেহে রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে তারপরেও আমাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন ত্রুটি নেই, রোগীদের সুস্থ করতে আমরা নিয়মিত চিকিৎসা দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply