হুমায়ুন রশিদ জুয়েল ;কিশোরগঞ্জ তাড়াইলে ইজিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে সরজমিনে গিয়ে এমনটাই লক্ষ্য করা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ২য় পর্যায়ে ৪০ দিনের অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) কর্মসূচির ৭টি ইউনিয়নে মোট ৩৪ টি প্রকল্পে ১৪৯৪ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিক রয়েছে ।
মোট বরাদ্ধ ২,৩৯০৪০০০ হাজার টাকা গত ১১ই নভেম্বর ২০২৩ থেকে কাজ শুরু হয় এবং তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম আবু মোতালেব এর প্রতিটি প্রকল্পে কঠোর নজরদারি করায় গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ৭-০১-২০২৪ খ্রী: সমাপ্ত ঘটে ।
সরজমিন আরও দেখা যায়, প্রথম ধাপের কর্মসূচিরচে ২য় ধাপের কাজের উন্নত মানের কাজ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রকল্পের সভাপতিরা । এই বিষয়ে ৪নং জাওয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃএমদাদুল হক রতন ও ০১নং তালজাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাহেদ ভুইঁয়া ও দামিহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদ সহ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈম দাদ খান নওশাদ এর সাথে কথা হলে তারা জানান,
আমাদের ইউনিয়নের দুর্নীতি এবং অনিয়ম মুক্ত কাজ করার শতভাগ চেষ্টা করেছি।
তাছাড়া আরও জানা যায়, অনেক প্রকল্পের কাজ ভালো হওয়ার পরেও এখনো বিল পাচ্ছে না। তাদের বিল দ্রুত পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন প্রকাশ করেছেন।
তাড়াইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম আবু মোতালেব, কাজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগের চেয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছেন প্রকল্প সভাপতিগন অসংখ্য ধন্যবাদ আর বিলের বিষয়টি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটু বিলম্ব হয়েছে। আসা করছি এই সপ্তাহের ভিতরে বিল পরিশোধ করা হবে ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ভোরের আকাশকে জানান, গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তাসহ সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এজন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উপজেলার অতিদরিদ্র এবং মৌসুমী বেকার শ্রমিক পরিবারের জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তারা প্রতিদিন ৪ শত করে ৪০ দিনে মোট ১৬ হাজার টাকা পাবে। এবছর ইজিপিপি কর্মসূচির মাটি কাটা শ্রমিকদের তাদের পারিশ্রমিক মোবাইল ব্যাংকিং রকেট এর মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
এসব দৃশ্যমান কাজের জন্য লক্ষ্য করা গেছে একদিকে দীর্ঘদিন পরে এসব গ্রাম অঞ্চলের রাস্তাঘাটের দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে।
Leave a Reply