নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ‘পুমদী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও অর্থ-আত্মসাৎ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন- উত্তর পুমদী গ্রামের মৃত শামছুউদ্দিনের পুত্র পুমদী ইউনিয়নের সাবেক ছাত্র লীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পুমদী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দিন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে একক ক্ষমতায় নির্বাচনি পরিক্ষায় ৭/৮ বিষয়ে অকৃতকার্য ৬৭ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ফরম পূরণে সুযোগ করে দেন। যা ২০২৪ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের জন্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির পরিপন্থী।
ফরম পূরণের টাকা আদায়ের সময় অন্য কোনো ফি আদায় করা যাবে না এমন সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে স্কুল কর্তৃপক্ষ গধবাধা রশিদের মাধ্যমে এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন।
এবং বোর্ডের নির্ধারিত বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২ হাজার ২শত ও ব্যবসা শিক্ষা/মানবিক বিভাগের জন্য ২ হাজার ১শত ধার্য করা থাকলেও তিনি সবার কাছ থেকে গদবাধা ৪ হাজার টাকা আদায় করে অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাৎ করেন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন অসচ্ছ্বল পরিবারের পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
তাছাড়া উনার কৌশলগত কারণে বিগত ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য কোন কমিটি নাথাকায়, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন বিল-ভাউচারে বিপুল পরিমাণ অর্থ-আত্নসাৎ করেন।
অভিযোগের সত্যতা কিছুটা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দিন বলেন, এক শ্রেণির লোক সব সময় লেগে আছে বিদ্যালয়ের দুর্নাম বের করায় জন্য। এবার আমার বিদ্যালয় থেকে সর্বমোট ১৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। শুধু অকৃতকার্যদের বেলায় তাদের অবিভাবকের চাপে সভাপতি মহোদয়ের নির্দেশে ৩ মাসের অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য সর্বমোট ৪ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকছুদা বলেন, এমন কোন অভিযোগের কপি আমার হাতে পৌঁছেনি। অভিযোগ পেলে তা অবশ্যই অফিসিয়ালি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে, এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডের নির্ধারিত ফির বাহিরে কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত কোন অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই।
Leave a Reply