নিজস্ব প্রতিনিধি :দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্ত ও অনুগত কর্মচারীর অসুস্থতার খবর শুনে সুদুর সৌদি আরব থেকে বিমানে ঢাকায় এসে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেবের চর গ্রামে উপস্থিত হন সৌদি নাগরিক সামিম আহমেদ হলিবি। কর্মচারীর প্রতি মালিকের এমন নজিরবিহীন হৃদ্রতা, ভালোবাসা ও আন্তরিকতা দেখে হতবাক হাজারো এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে হোসেনপুর উপজেলার ঢেকিয়া খেলার মাঠে এসে পৌঁছান সৌদি মালিক।
সৌদি আরবের মালিক হেলিকপ্টারে হোসেনপুরে আসার খবর পেয়ে সকাল থেকেই সববয়সী হাজারো নারী-পুরুষ উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। বিষয়টি এলাকায় দারুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের তিন সহোদর খাইরুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ ও সারোয়ার হোসেন সাহিদ দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করেন সৌদি আরবের দাম্মাম আল হাচা শহরের বাসিন্দা সামিম আহমেদ হলিবির শিল্প প্রতিষ্ঠানে। সেখানে খাইরুল, হামিদ ও সাহিদ দীর্ঘদিন ধরে বাগানে ও গাড়ী চালকের কাজ করছেন তারা।দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে মালিক সামিম আহমেদ হলিবির সঙ্গে তাদের একান্ত সখ্যতা ও বিশ্বস্ততা গড়ে উঠে। সেই সুবাদে এক জনের অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের অজপাড়া গাঁয়ের চরাঞ্চল এলাকায়। সৌদি মালিক আহমেদ হলিবি জানান, তিনি গত সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সৌদি আরবের একটি ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে সকালে তার ছেলে আব্দুল লিলা হলিবিকে সাথে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে হোসেনপুর উপজেলার ঢেকিয়া খেলার মাঠে এসে পৌঁছান। পরে প্রাইভেট কারে চড়ে কর্মচারীদের হোসেনপুর পৌর এলার বাসায় যান তিনি। এ সময় সৌদি মালিক ও তার ছেলেকে একনজরে দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করেন।
বাংলাদেশে এসে কেমন লাগলো এমন প্রশ্নের জবাবে সামিম আহমেদ হলিবি বলেন, আমার খুবই ভালো লেগেছে। বাংলাদেশে এসে আমার কমচারীর খোঁজে নিতে পেরে আমি খুবই খুশি। তারা (খাইরুল,হামিদ ও সাহিদ) শুধু আমার কর্মচারীই নয়, আমার সন্তানের মতো।
তাই তাদের খোঁজ নিতে সৌদি আরব থেকে ছুটে এসে মানসিক শান্তি পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, তাদের সততা, বিশ্বস্ততা ও বিনয়ী ব্যবহারের জন্য আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও সমৃদ্ধি বেড়েছে।
Leave a Reply