শফিক কবীর ঃ আমি কিছু নিতে আসিনি, দিতে এসেছি, দিয়ে যাচ্ছি, আরও দিবো। গত ১৫ বছরে অনেক উন্নয়ন করেছি চলমান কাজগুলোও শেষ করব। যে নিকলী-বাজিতপুর একসময় সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। আমি সেই অন্ধকার দূর করে আজ আলোকিত করেছি।
আমি আপনাদের সেবক, আপনাদের সেবা করাই আমার কাজ। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আপনারা আমাকে তিন বার নির্বাচিত করে মহান সংসদে পাঠিয়েছেন। এজন্য আমি সারাজীবন নিকলী-বাজিতপুরবাসীর নিকট কৃতজ্ঞ। আগামী সংসদ নির্বাচনেও আমার মনোনয়ন নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আপনাদের ভালোবাসায় আবারও আমি এমপি হবো।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ নিকলী উপজেলার সদর ঈদগাহ ময়দানে সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন- কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আফজাল হোসেন।
তিনি বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে সারা দেশে কী নৈরাজ্য করেছিল এগুলো সবই আপনারা জানেন। আমাদের আওয়ামী লীগ পরিবারসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল। হাজার হাজার বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়েছিল।
আফজাল হোসেন আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।
এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কারার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে, সমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল হক খান সাজন, বাজিতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান শিবলী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল হক লিটন।
এর আগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকা থেকে সুসজ্জিত ফ্যাস্টুন, ব্যানার ও বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন।
Leave a Reply