তাড়াইল উপজেলা প্রতিনিধি :কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের পংপাচিহা গ্রামের একমাত্র রাস্তার অবস্থা বেহাল দশা। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পংপাচিহা গ্রামের হাজারো মানুষ।
জানা যায়, তাড়াইল সাচাইল সদর ইউনিয়নের পংপাচিহা গ্রামের এক কর্ণারে প্রায় ৪০০ পরিবার বসবাস করেন তাদের একমাত্র এই কাচাঁ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রয়ছে জামে মসজিদ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা। প্রায় ৯ বছর যাবত রাস্তায়টি সংস্কার করেনি। কিন্তু এখন রাস্তা থেকে মাটি সরে গিয়ে খানা-খান্দ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এ রাস্তার -বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।
এলাকার স্হানীয় সাকু মিয়া বাড়ি পংপাচিহা । অটো চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ, উপজেলার কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। রহিঙ্গা তিনি আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।
হেদায়েত সুরাফ সিদ্দিক মিয়াসহ স্থানীয়রা জানায়, পংপাচিহা গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। প্রায় ৯ বছর গত হয়ে গেল । কিন্তু এখন পর্যন্ত রাস্তাটি আর পাকা হয়নি।
দুঃখের বিষয় এই রাস্তাটির বেহাল দশা উপজেলা প্রশাসন সহ সর্বস্তরের জনগণ এটি অবগত আছে তারপরও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়না। এবং কি সুদৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনা। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পরে। এমনকি গ্রামের মধ্যে রিক্সাওয়ালারাও আসতে চায় না। গতকালকে আমি হাজার মন বোর ধান বিক্রি করেছি কিন্তু গাড়ীতে নেয়ার সময় রাস্তায় অনেক ধান পরেগেছে ।
এ বিষয়ে তাড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিরব।
Leave a Reply