নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সাবেক কারারক্ষীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ এ রায় দেন।
রায়ের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর সরকারি কৌসুলি (স্পেশাল পিপি) অ্যাডভোকেট এম এ আফজল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক কারারক্ষী খায়রুল ইসলাম টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বাইচাইল গ্রামের আঃ মজিদের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দেড় বছর পুর্বে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার দুবাই প্রবাসী আঃ মান্নানের মেয়ে রুমা আক্তার (২২)কে বিয়ে করেন কারারক্ষী খায়রুল ইসলাম (২৮)। বিয়ের পর থেকে খাইরুল স্ত্রীকে নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের ফ্যামিলি বাসায় বসবাস করতেন। সেইসাথে বিযের পর থেকেই খায়রুল ইসলাম যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করতেন রুমাকে।বিয়ের ছয় মাস পর খাইরুলকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও খাইরুল সন্তুষ্ট ছিলেননা। মোটরসাইকেল কেনার কথা বলে আরও ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। সেই টাকা এনে দিতে স্ত্রী অপারগতা দেখালে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের স্টাফ কোয়ার্টারে রুমাকে মারধর করে জোর করে বিষ খাইয়ে দেন খাইরুল। এবং রুমার মাকে ফোন করে জানান অসুস্থ্যতার কথা। সকালে রুমার মা ছিনু বেগম বাসায় এসে তার অবস্থার অবনতি দেখে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে, ২৯ ডিসেম্বর স্বজনেরা রুমাকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৩০০ ফিট এলাকায় পৌঁছলে মারা যান তিনি।
পরের দিন (৩০ ডিসেম্বর) নিহত রুমার মা ছিনু বেগম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় রুমার স্বামী খায়রুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০২১ সালের ৩১ জুলাই কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
Leave a Reply