আজ ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে পালিত হলো রবীন্দ্র -নজরুল জন্মবার্ষিকী ২০২৩”

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বিখ্যাত বিশ্ব-বাঙালি ঐতিহাসিক ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদার তিনি শতবর্ষ আগে তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, বাংলার প্রাচীন রাজধানী তথা সভ্যতার লীলাভূমি হচ্ছে করতোয়া বা পূন্য তোয়া/স্হান হলো ঐতিহাসিক মহাস্হানগড় তথা পুণ্ড্রুনগর। সেই দিকদিয়ে বলাই যায় বিগত প্রায় তিন হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতির ইতিহাসে ও সভ্যতায় যে সকল শত সহস্র শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জন্ম হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম অনন্য সাধারণ মানুষ।

তাঁরা শুধু ভারত উপমহাদেশে নয় গোটা বিশ্বের কাছে স্মরণীয় ও বরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
এমন ই দুই খাঁটি বাঙালি ব্যক্তিত্ব আজ হতে ১৬২ বছর ও ১২৪ বছর আগে এই বৃহৎ বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর তাঁদেরকে উপলক্ষ করে ই আজকের এই আয়োজন।

অদ্য ২৬শে আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১০জুলাই ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রোজ সোমবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্নতত্ত্ব্ব অধিদপ্তর আগারগাঁও শেরেবাংলা নগর ঢাকার প্রত্নতত্ত্ব্ব ভবন এর দ্বিতীয় তলায় সেমিনার কক্ষে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।

উক্ত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব কেএম খালিদ এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব খলিল আহমদ।
উক্ত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

এছাড়া প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড.মো.শফিকুল আলম, জনাব মোঃ সফিকুল ইসলাম, জনাব মোঃ আলতাফ হোসেন, জনাব মোঃ হান্নান মিয়া প্রমুখ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি নুরুল হুদা, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক , জাতীয় আর্কাইভের মহাপরিচালক, নজরুল ইনস্টিটিউটের পরিচালক, জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচালক বৃন্দ।
এছাড়াও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রশাসন জনাব মোঃ মাইনুর রহিম, জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর চট্টগ্রাম এর উপ-পরিচালক কাম কীপার ড.মো.আতাউর রহমান, অধিদপ্তরের প্রত্নসম্পদের উপ-পরিচালক ড.মো.আমিরুজ্জামান, উপ-পরিচালক প্রকাশনার জনাব রাখী রায়,আঞ্চলিক পরিচালক রাজশাহী ও রংপুরের ড.নাহিদ সুলতানা , আঞ্চলিক পরিচালক ঢাকা ও ময়মনসিংহের জনাব আফরোজা খান মিতা, আঞ্চলিক পরিচালক চট্টগ্রাম ও সিলেটের জনাব সাইফুর রহমান, সহকারী পরিচালক প্রকাশনার জনাব মহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক হালিম আফরোজ প্রমুখসহ অধিদপ্তরের প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ উক্ত রবীন্দ্র-নজরুল জন্মবার্ষিকীর আলোচনায় ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত রবীন্দ্র-নজরুল জন্মবার্ষিকীর আলোচনায় ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব চন্দন কুমার দে (অতিরিক্ত সচিব) মহোদয়।
আর পুরো অনুষ্ঠানটিতে উপস্হাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব রাজিব কুমার সরকার ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রশাসনের জনাব তানিয়া সুলতানা প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি বিকেল ৫.৩০টা থেকে শুরু করতে রাত প্রায় ১০.০০ঘটিকা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলতে থাকে।
উক্ত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় বিশেষভাবে পারফর্ম করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব চন্দন কুমার দে, জাতীয় আর্কাইভ ও গ্রন্হগারের মহাপরিচালক জনাব গৌতম কুমার, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জনাব নাফরিজা শ্যামা, যুগ্মসচিব জনাব মোঃ মোখলেছুর রহমান , উপসচিব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন প্রমুখ ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা ও তার দল।
আরো উল্লেখ্য যে, আজকের এই রবীন্দ্র -নজরুল জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার শেষ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল স্বয়ং বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব খলিল আহমদ মহোদয়ের।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি কেএম খালিদ এমপি মহোদয় আবারো উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ প্রদান করেন বলেন যে, আজকের আয়োজন
এককথায় অসাধারণ! সেখানে
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘন্টাব্যাপী রবীন্দ্র -নজরুল জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা ও একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতো সুন্দর নান্দনিক একটি আয়োজনের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানাই।’
সেই সাথে সাথে আজকের মনোজ্ঞ সংগীত সন্ধ্যায় যারা পারফর্ম করেছে তাদের সম্মানীর বাহিরে , তাদের প্রত্যেকের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে খুশি হয়ে ১০১/=টাকা উপহার প্রদান করে তাদেরকে উৎসাহিত করেন।

এরপর অনুষ্ঠান শেষে সম্মানিত সভাপতি চন্দন কুমার দে মাননীয় মন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি মহোদয়কে ও সচিব খলিল আহমদ মহোদয়সহ উপস্থিত সবাই কে এতো কষ্ট করে দীর্ঘ সময় ধরে ধৈর্য্য ধারণ করে উক্ত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং পরিশেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি কালে উপস্থিত সবাই কে রাতের ভোজ সভায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category