মোঃ আল আমিন, মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা:
নরসিংদী সহ মাধবদীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী ৭১টি পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় বাড়লেও পুরোদমে জমেনি পশু বেচাকেনা। হাটগুলোতে ছোট বড় সবধরনের পশুর আমদানি থাকলেও দাম বাড়তির কারণে পশুবেচাকেনা পুরোপুরি জমে উঠেনি বলে জানান বিক্রেতারা।
রোববার রাত থেকেই মাধবদীর গরু হাট মাঠে গরু নামতে শুরু করলেও বেচা বিক্রি ও ক্রেতার সমাগম জমে উঠে সোমবার সকাল থেকে। মাধবদীর ঐতিহ্যবাহী স্থায়ী পশুর হাট মাধবদী গরুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট, বড় ও মাঝারী আকারের গরু নিয়ে হাজির বিক্রেতারা। পাশাপাশি রয়েছে মহিষ, ভেড়া ও ছাগল। সোমবার সকাল থেকেই প্রচুর পশুর আমদানি ও ক্রেতা বিক্রেতায় এই হাট মুখর হয়ে উঠলেও বেচাকেনা হয় তুলনামূলক কম। বিকালে কিছুটা বাড়তে থাকে বেচাকেনা। অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রতি ছোট গরুতে ২০-৩০ হাজার ও বড় গরুতে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারা। এতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে বাজেট অনুযায়ী পশু কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় লালন পালন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পশুর দাম বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর বেশি চাহিদা বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। ছোট ও মাঝারী আকারের গরু কমবেশি বেচাকেনা হলেও বড় গরুর বেচাকেনা কিছুটা কম। বিক্রেতা ও পাইকাররা বলছেন তারা অল্প লাভেই পশু বিক্রি করছেন। ঈদ ঘনিয়ে আসায় শেষ মুহুর্তে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রাম থেকে আসা মোতালিব মিয়া জানান, অন্যান্য হাটের তুলনায় মাধবদী গরু হাট অনেক বড় ও ঐতিহ্যকাহী একটি হাট, পশুর দামও কিছুটা কম। বেচাকেনা খুব একটা খারাপ না, তবে গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি। ক্রেতা মাহাবুবুর রহমান বলেন, পশুর দাম অনুযায়ী বাজেট মিলছে না। সব পশুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে। বাজার ঘুরে কেনার চেষ্টা চলছে। এই বাজারে কিনতে না পারলে অন্য বাজারে যাব। ক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, বাজার বেশি অস্থিতিশীল মনে হচ্ছে না, ভারসাম্যপূর্ণই মনে হচ্ছে। আজকে মাধবদী গরুর হাঁটে ঈদের প্রথম হাট হিসেবে কেনা-বেচাও খারাপ বলা যাবে না। গরু বিক্রি করতে আসা শফিক জানান, গরুর খাবারের দাম বাড়ছে সে অনুযায়ী যা দাম বলার কথা কাস্টমার তার চেয়ে কম বলেন। গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা কেজি, ক্রেতারা এসে দামাদামি করেন ৪০০ টাকা ৪৫০ টাকা ধরে। মহিষ বিক্রি করতে আসা ইসমাইল মিয়া জানান, দুইটা মহিষ পালন করছিলাম কুরবানীর হাটে বেচার জন্য। আজ বাজারে নিয়া আইসা দাম ভালো পেয়ে বিক্রি করেছি। মাধবদী পশুর হাটের ইজরাদার আহাদ মিয়া বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে বাজার জমে উঠেছে। আশা করছি বেচাকেনা ভাল হবে। বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার সব ধরনের সুব্যবস্থাসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাণী সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে।
Leave a Reply