নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ এ বছর বোরো মৌসুমে যে ধান উৎপাদন হয়েছে তা দিয়েই দেশ চলবে, কোন খাদ্য সংকট হবে না এবার চালের জন্য একটি পয়সাও বিদেশে যাবে না।
বিশেষ করে খাদ্যের অপচয় রোধে সবার প্রতি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “চাল চিকন করতে গিয়ে ছাটাই করে চালের অপচয় করা হচ্ছে। এতে পুষ্টিমানও কমে যাচ্ছে। জনসাধারণকে পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক থাকতে হবে।”
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে চলমান বোরো সংগ্রহ ২০২৩ উপলক্ষে খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ এর সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন – পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ (পিপিএম বার), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি. এম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুস সাত্তার।
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা অনেক লোভী, অল্প লাভে মন ভরে না, তাদের সাড়ে তিন হাত নয়, কবরের জন্য মনে হয় ২০ একর জমি লাগবে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে পন্য সংকট সৃষ্টি করে তাদের ইচ্ছে মতো মূল্যে সরবরাহ করে থাকে, আমি মনে করি তাদের এই সিন্ডিকেট ভাংতে হবে এবং ভাংগা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ভারতীয় গরু আমদানি করা হবেনা, দেশের খামারিদের কথা ভেবে। কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়েও বেশি গরু দেশে আছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে, খাদ্যমন্ত্রী সার্কিট হাউজে পৌঁছালে। তাকে গার্ড অব অনার দেয়ার পর ফুল দিয়ে বরণ করেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষক লীগের নেতা-কর্মীরা।
মতবিনিময় সভায় এসময় জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি রিপন রায় লিপু, জেলা কৃষি ও জেলা খাদ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply