আজ ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কিশোরগঞ্জের ৪ উপজেলা গৃহহীন ঘোষণা নতুন ঘরে প্রবেশ করবে ৫৬৩ পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আগামী ২২ মার্চ সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩৬৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ২ শতাংশ জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিশোরগঞ্জে এবার ৪ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হবে, সেইসাথে নতুন ঘরে প্রবেশ করবে আরো ৫৬৩টি পরিবার।
রবিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, এবার কিশোরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৪র্থ ধাপে ঘর পাচ্ছেন ৫৬৩ অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
কিশোরগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ম ২য় ও ৩য় পর্যায়ে ১৯২০টি (৬১৬+৬৩১+৬৭৩) ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৪র্থ ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭, করিমগঞ্জ ৩৫,নিকলী ২৬, অষ্টগ্রাম ৩৩, হোসেনপুর ৩৩, কুলিয়ারচর ৫২, ভৈরব ৪৩, বাজিতপুর ৪৬, তাড়াইল ৫৮, মিঠামইন ৯২ ও ইটনায় ১১০ টি ঘর’সহ জেলায় মোট ৫৬৩টি ঘর প্রদান করা হবে।
সেইসাথে জেলার কিশোরগঞ্জ সদর, ভৈরব, অষ্টগ্রাম ও পাকুন্দিয়া এই ৪টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে। ইতোপূর্বে কটিয়াদি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১২টি, ভৈরব উপজেলায় ১৬০টি, অষ্টগ্রাম উপজেলায়-১২২টি ও পাকুন্দিয়া উপজেলায়-১৬৬ টি ভূমিহীন পরিবার রয়েছে।
এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় ব্যারাক হাউস নির্মাণের মাধ্যমে ইটনা উপজেলার আড়ালিয়া ও মজলিশপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ২৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে, ৫ টি পরিবারকে অন্যান্য পুনর্বাসনের(উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে) মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ৪র্থ পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত ৫৬৩ টি ঘরের মধ্যে ২৯১ টি ঘরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্ট ২৭২ টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ের ৫৬৩ টি ঘরের মধ্যে ২৯১ টি একক গৃহসহ মোট ৩২৬ টি গৃহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ মার্চ ২০২৩ উদ্বোধন করবেন এবং একই দিনে উপকারভোগীদের নিকট কবুলিয়ত দলিল, নামজারী এবং সনদ হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরো জানান, এ জেলায় উদ্ধারকৃত খাসজমির পরিমান- ৬২.২৯ একর যার স্থানীয় বাজারমূল্য –৮৪ কোটি ৮২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এবং ক্রয়কৃত জমির পরিমান- ১১২.৮২ শতক যার স্থানীয় বাজারমূল্য – ১,৩৯,১৬,৫০০/-টাকা।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পসমূহে এপর্যন্ত উৎপাদিত শাকসব্জির পরিমাণ ১৪৩৯২ কেজি, যার বাজারমূল্য ৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৮২ টাকা। বিভিন্ন উৎপাদিত ফলমূলের পরিমাণ ৯৩৫০ কেজি, যার বাজারমূল্য ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৪৫০ টাকা। অন্যান্য উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ ৩৩২০ কেজি,যার বাজারমূল্য ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ২০০ টাকা। এবং গবাদি পশু পালন ও মৎস্য চাষে গরু/মহিষের ৪১২ টি, যার বাজারমূল্য ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৬ হাজার টাকা,
ছাগল/ভেড়া ৪০২ টি, যার বাজারমূল্য ৭ কোটি ৫২ লক্ষ ৮ হাজার টাকা,
হাস/মুরগীর আনুমানিক সংখ্যা ৯৮৯৪ টি, যার বাজারমূল্য ২১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা ও মৎস্য চাষের পরিমাণ ১৩,৭৯০ কেজি, যার বাজারমূল্য ২৭ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।
এসময় প্রেস করফারেন্সে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা খানম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category