নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থানায় ডাকাতি মামলায় এজাহার নামীয় ২ জন মূল আসামিসহ ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে আটক করে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার)।
বুধবার (০২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা পুলিশের আয়োজনে, পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্টিত হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় চিত্রাং এর সময় কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী থানার ঘিলাকান্দি এলাকায় মোঃ মাসুদ রানার বাড়িতে মধ্য রাতে গ্রীলের তালা ভেঙে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় একটি ডাকাত দল। ২৬ তারিখ কটিয়াদী মডেল থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন মোঃ মাসুদ রানা আকন্দ। ঐ দিন রাতেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দুলাল মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এজাহার নামিয় ১নং সাদ্দাম(২২) ও ২নং মাহফুজ(২০)কে আটক করে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ১ নভেম্বর ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ৩ জন, কটিয়াদী থেকে ১ জন ও পাকুন্দিয়া থেকে ১ জনকে সহ সর্বমোট ৭ জনকে গ্রেফতার করে ২ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- কটিয়াদী উপজেলার পাইকসা গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (৫০) ও মোহাম্মদ আলী, একই উপজেলা সাটিয়াদী গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র বাচ্চু (৪০), আঃ কাদিরের পুত্র সুলতান (২৮), পাকুন্দিয়া উপজেলার তালদশি গ্রামের হরিপদ সাহার পুত্র স্বর্নকার বাপন সাহা (৩৫)।
তাদের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী আসামী বাপন সাহার স্বর্নের দোকান থেকে (এক ভরি এগারো আনা) এক জোড়া স্বর্ণের দুল, দুইটি স্বর্ণের বালা, একটি স্বর্ণের চেইন, তিনটি স্বর্ণের আংটি উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদেরকেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার, কটিয়াদী থানার ওসি (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী ও মামলার তদন্তকারী এস.আই দুলাল মিয়াসহ জেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
Leave a Reply