নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূলমন্ত্র শান্তি শৃঙ্খলা সর্বত্র ” এ স্লোগানে
কিশোরগঞ্জে নানা আয়োজনে পালিত হলো কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২২।
২৯ অক্টোবর শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বেলুন উড়িয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২২ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ আফজল, জিপি বিজয় শঙ্কর রায়, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, সিআইপি বাদল রহমান, জেলা মুক্তিযুদ্ধোর সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ উল্লাহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান , জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আল আমিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নারী নেত্রী বিলকিস বেগম, কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মজিবুর রহমান বেলাল, জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ খালেকুজ্জামান, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি লিপন রায় লিপু, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোকলেছুর রহমান প্রমুখসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, উপজেলা ও পৌর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে এ উপলক্ষে সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) তার বক্তৃতায় বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে যখন ডাক দিয়েছিলেন তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। তখন কিন্তু পুলিশ বিন্দুমাত্র দ্বিধাগ্রস্ত ছিল না, বিন্দুমাত্র সন্দেহের মধ্যে ছিল না, সেই দিন বেঁচে থাকবে না জেনেও নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য লড়াই করেন তারা। বর্তমানে বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে পুলিশ দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব?
তাই, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে ছোটখাট বিষয় নিয়ে মানুষকে পুলিশের কাছে যেতে হবে না। এতে করে জনসাধারণের ভোগান্তি কমবে। তিনি কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, সক্রিয় ও বেগবান করে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সেই সাথে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে অবদান রাখায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স ও কমিউনিটি পুলিশিং) মোবারক হোসেন ও ইটনা সদর ইউনিয়ন ৭ং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি মোঃ নজরুল মিয়াকে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়।
আলোচনা সভা শেষে পুলিশ লাইন্স মাঠে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply