নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গরুসহ আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত সেই রাতেই কিশোরগঞ্জ সদরের পাঠানকান্দি গ্রামের কৃষক মাসুদ আলমের গোয়ালঘরের দরজার তালা ভেঙে একটি ষাঁড় গরু চোরেরা নিয়ে যায়। গরুটি পিকআপ ভ্যান দিয়ে নরসিংদীতে নিয়ে যাওয়ার সময়
কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী এলাকায় পৌঁছলে পিকআপের চাকা নরম কাদা মাটিতে আটকে পড়লে গাড়িটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় লোকজনের সহযোহিতা চায়। স্থানীয় লোকজন তাদের সাহায্য করতে এসে পিকআপে কাপড় দিয়ে ঢাকা চার পা বাঁধা একটি ষাঁড় গরু দেখতে পায়। এ ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাস করলে চোরেরা গরুটি রেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।এলাকাবাসী ধাওয়া করে তাদেরকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদে গরু চুরির কথা স্বীকার করে। তখন উত্তেজিত জনতা চোরদেরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কটিয়াদী থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, পিকআপ ও চোরাই গরুসহ ৬ চোরকে আটক করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর গ্রামের মো.সুজন মিয়া (৩০), কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার বড়কান্দা নতুনহাটি গ্রামের হৃদয় মিয়া ও মো. জুয়েল মিয়া (২০) একই উপজেলার কোলাহানি বাজারহাটি গ্রামের মো. জীবন হোসেন (২৬), কটিয়াদী উপজেলার ফেকামারা
গ্রামের হুমায়ুন কবির নাঈম (২২) ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়ীয়া গ্রামের মো. রমজান মিয়া (২৫)।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মুখলেছুর রহমান জানান, আটককৃত সকলেই আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের সদস্য। এ ব্যাপারে গরুর মালিক মাসুদ আলম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
Leave a Reply