নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ’ ৩০ বছর হলে – নারীরা ভায়া করতে আসুন চলে ‘ স্লোগানে কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ অক্টোবর শনিবার বেলা ১২টায় কিশোরগঞ্জ ২৫০
শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মিলনায়তনে ফ্যামিলি টাইস ফর উইমেন ডেভেলপমেন্টের আয়োজনে, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ারর্স কানাডার অর্থায়নে, ’স্থায়ীত্বশীল ভবিষ্যতের জন্য গ্রামীণ নারীদের প্রজননতন্ত্র সুরক্ষায় জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনাসভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোঃ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ফ্যামিলি টাইস ফর উইমেন ডেভেলপমেন্ট এর
নির্বাহী পরিচালক খুজিস্থা বেগম জোনাকীর পরিচালনায়, এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. হোসনা বেগম, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নুর মোহাম্মদ সামছুল আলম, গাইনী বিষেশজ্ঞ ডা. মুক্তা সুলতানা।
ফ্যামিলি টাইস ফর উইমেন ডেভেলপমেন্ট এর
নির্বাহী পরিচালক খুজিস্থা বেগম জোনাকী বলেন, গ্রামীণ নারীদের প্রজননতন্ত্র সুরক্ষায় জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে হাসপাতালের প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী ও সিনিয়র নার্সদের সমন্বয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ও কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নে এ কর্মসূচি পালনে আমরা ১১০ জন নারীর মধ্যে পরিক্ষা করে ৬ জনকে পাওয়া যায় জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত। এজন্য আমি মনে করি সমাজে পুরুষের প্রতিবন্ধকতা ও নারীদের অসচেতনতাই এর কারণ।
তাছাড়া বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকারের নির্দেশনা ও টার্গেট থাকা সত্বেও নারীদের ভায়া টেষ্ট করায় রয়েছে সামাজিক অনেক প্রতিবন্ধকতা। সরকার ভায়া টেস্টসহ জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত সবকিছুই বিনামূল্যে ও সম্মানের সহিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সারাদেশে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেও ভয়ের কিছু নেই,রয়েছে উন্নত চিকিৎসা। তবে, বয়স ৩০ হলেই নারীরা যদি প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে নিয়মিত জরায়ু মুখের পরীক্ষা করান তাহলেই এথেকে আরোগ্য লাভ সম্ভব।
উক্ত আলোচনাসভায় গ্রামীণ নারী কৃষক, সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধি ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।
Leave a Reply