নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ “ভিটামিন-এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান” এ প্রতিপাদ্যের আলোকে সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জেও একযোগে ১২-১৫ জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রোগী চোখের কর্নিয়ার সমস্যা, রাতকানা, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া সহ মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগতে পারে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে জন্মের পর পরই নবজাতককে শালদুধ সহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করুন। প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ান। শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ান। মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) ও উদ্ভিজ খাবার (হলুদ ফলমূল ও রঙিন শাকসবজি) খেতে দিন।
উল্লেখ্য যে, কিশোরগঞ্জের ১৩ টি উপজেলায় ২,৭৭৪ টি কেন্দ্রে ৬,৭৯৯ জন স্বাস্থ্য সেবা দান কর্মীর মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী ৫৮,৭৭৪ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪,৪০,৯৪৩ জন (সর্বমোট ৪,৯৯,৭১৭) শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
৯ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অবহিতকরণ সভায় সাংবাদিকদের এ তথ্য প্রদান করেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন – কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ সামছুল হক’সহ জেলার কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply