আজ ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি আওলাদ, সম্পাদক সাত্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি : দীর্ঘ ২৫ বৎসর পর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সভাপতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার নির্বাচিত।
২৫ মে বুধবার সন্ধায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে দীর্ঘ ২৫ বৎসর পর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনটি দুইটি অধিবেশনের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. মোঃ জিল্লুর রহমান সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

১ম অধিবেশনের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, সদস্য এ.বি.এম রিয়াজুল কবির কাউছার ও সাহাবুদ্দিন ফরাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. মোঃ জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম.এম আফজল, আলহাজ্ব মোঃ আফজাল হোসেন এমপি, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, ডাঃ সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, প্রচার সম্পাদক লুৎফুল আরেফীন গোলাপ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাব্বীর আহম্মদ মানিক, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক সুলতান আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক বাদল রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার কামাল ও কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন। প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মোঃ আতাউর রহমান।

 


১ম অধিবেশনের সম্মেলনে প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৫ সালের পরে দেশ পিছনের দিকে যেতেছিল। এখন উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টার্নেল, রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্র, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও চার লেনের মহাসড়ক, গৃহহীনদের ঘর নির্মাণসহ অসংখ্য কাজের বিস্ফোরণ ঘটেছে বর্তমান সরকারের আমলে। আজকে বেগম খালেদা জিয়া যে ধরণের অপরাজনীতি করে সংঘাত করতে চান এটি তার পূর্ব পরিকল্পিত সংঘাতের ন্যায়। ১৯৭১ সালে দেশে যখন যুদ্ধ চলছিল মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারদের সাথে জীবন বাজি রেখে দেশকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন তখন বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানি লেফট্যানেন্ট ও কর্ণেলদের আতিথিয়তায় নিমগ্ন ছিলেন।
অন্য দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জ আজম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। আপনারা যদি সংগঠিত হতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিপর্যয় হতে পারে। আর এই বিপর্যয় হলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে খুনি জিয়ার ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী তারেক জিয়া। তাই বৃহত্তর ময়মনসিংহ অর্থাৎ কিশোরগঞ্জের ৬টি আসন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই আজকের সম্মেলনে আপনাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। শুধু ভোটের সময় ঐক্যজোট হলে চলবে না। দলকেও সংগঠিত হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category