নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জে র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ভোক্তা -অধিকার দিবস ২০২২ পালিত হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নানা কর্মসূচিতে দিবসটি পালন করছে।
সমসাময়িক পেক্ষাপটে এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা’।
কিশোরগঞ্জে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ১৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় র্যালী ও জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
র্যালীতে অংশ গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম বার সহ জেলার সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: নাজমুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারি পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বনিক, কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মজিবুর রহমান বেলাল, সাবেক সভাপতি মো: বাদল রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগম, কিশোরগঞ্জ ক্যাবের সভাপতি আলম সারোয়ার টিটু, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসাইন রনি’সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম কর্মী।
সভায় বক্তারা বলেন, একজন ব্যবসায়ীও কিন্তু একজন ভোক্তা। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। সকলের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা উচিত।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কংগ্রেসে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বক্তৃতা দেন। ভোক্তার চারটি অধিকার সম্বন্ধে তিনি আলোকপাত করেন। এগুলো হলো- নিরাপত্তার অধিকার, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ প্রদানের অধিকার। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে আরও বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরও আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করে। কেনেডির ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনটিকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশে ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে সরকার ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা হয়। এ আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ অধিদপ্তরটি। প্রতিবছর এ দিবসকে পালন করছে সরকারি এ সংস্থা।
Leave a Reply