নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপি কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা।
‘বজ্র কন্ঠে ছড়ার ডাক, সামপ্রদায়িকতা নিপাত যাক’ এ শ্লোগান নিয়ে ১৮ তম ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা ৩ মার্চ র্বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শহরের সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। ছড়া উৎসবকে ঘিরে দেশ-বিদেশের ছড়াকার ও কবি-সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানস্থল। তিন দিনের এ ছড়া উৎসবে থাকছে আলোচনা সভা,ছড়াপাঠ, নাটক গানসহ নানা অনুষ্ঠান।
কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদ এটি আয়োজনে সকালে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে তিন দিনের নানা কর্মসূচির শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে ছড়া উৎসব উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের ছড়াকার ও কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয় উদ্বোধন চত্বর। এ চত্বরেই চন্দ্রাবতী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার কয়েকটি স্টলে রয়েছে বাহারি পণ্য।
ওপার বাংলার কবি-সাহিত্যিকরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে, আবেগ-আপ্লুত হয়ে যান এপাড় বাংলার মানুষের আতিথিয়েতায়।
ভারতের শিশু সাহিত্যিক তারাশংকর চক্রবর্তী এ ছড়া উৎসবে এসেছেন। তিনি বলেন, এ দেশে যখন আসি তখন ভুলে যাই সীমানা প্রাচীর ও কাঁটা তারের বেড়ার বিভাজন। এ ছড়া উৎসব আমাদেরও প্রাণের স্পন্দন। বাংলাদেশের এই কিশোরগঞ্জে বাংলার প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী, সত্যজিৎ রায়, উপেন্দ্র কিশোর রায়সহ অনেক গুনি কবি-ছড়াকার-লেখক জন্ম নিয়েছেন। এই ভূমিতে দাঁড়িয়ে আমরাও গর্ব অনুভব করি।
প্রথমদিনে আলোচনায় অংশ নেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কাশেমসহ অনেকেই।
ছড়া আমাদের আবহমান সংস্কৃতিকে ধারন করে উল্লেখ করে এমন উৎসবকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ছড়া-কবিতা সাধারণ মানুষের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করেছিলো বলে জানান, কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলার আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহ্।
তিন দিনের এ ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা শেষ হবে আগামী শনিবার।
Leave a Reply