নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে মিষ্টির প্রতি প্যাকেটের ওজন অস্বাভাবিক (প্রায় ২০০ গ্ৰাম) হওয়াও পরিমাপে কারচুপির দায়ে ৪ মিষ্টির দোকান কে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কিশোরগঞ্জ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি আভিযানিক দল।
(বুধবার ১২ জানুয়ারি) দুপুরে বাজিতপুরের সরারচর বাজারে কিশোরগঞ্জ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, বাজিতপুর উপজেলার সরারচর বাজারে অবস্থিত মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গুলো মনিটরিং করা হয়। এসময় মিষ্টি উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রতি প্যাকেটের ওজন অস্বাভাবিক এবং ভোক্তা কে প্রতিশ্রুত ওজন অপেক্ষায় কম ওজনে পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের প্রমাণ পাওয়া যায়। এতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ৪টি প্রতিষ্ঠান কে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে আল্লাহর দান মিষ্টান্ন ভাণ্ডার কে ৬ হাজার টাকা, জয়গুরু সুইটমিট কে ৫ হাজার টাকা, লক্ষ্মী নারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার কে ৮ হাজার টাকা ও জয় মা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার কে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বাজিতপুর উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আমির খসরু। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের উপ পরিদর্শক হাবিল উদ্দিন এর নেতৃত্বে একটি তদারকি টিম সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত ছিলেন।
অভিযানে জরিমানা বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক জানান, অভিযানে মিষ্টির প্যাকেটের ওজন গড়ে ১৮০ গ্রাম পাওয়া গেছে। একজন ভোক্তা এক কেজি মিষ্টি ক্রয় করলে তিনি একদম সঠিক ভাবে এক কেজি পাচ্ছেনা, পাচ্ছেন মাত্র ৮২০ গ্রাম।সেক্ষেত্রে ভোক্তা সূক্ষভাবে প্রতারিত হচ্ছে। ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় এমন প্রতিষ্ঠান গুলো নিয়মিত মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে। জনস্বার্থে এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply