নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে জেলা শহরের থানা মাকের্টের মডার্ণ ডেন্টালে ভোরের আলো সাহিত্য আসর ও যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটির যৌথ আয়োজনে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য
আসরের সভাপতি মোঃ আজিজুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের
উপপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান খান। প্রধান আলোচক ছিলেন বিআরডিবির সাবেক
পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নিজাম উদ্দিন। সংগঠনদ্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রেজাউল হাবীব রেজার পরিচালনায় শোকসভায় মরহুমের জীবনের নানা দিক নিয়ে রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মিসবাহ উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত উদ্দিন ভূইয়া,
বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.মতিন আকন্দ, ভোরের আলো সাহিত্য আসরের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি
আবুল বাহার, উপদেষ্টা হীরা মিয়া, উপদেষ্টা লায়ন এসএম জাহাঙ্গীর আলম, সহসভাপতি
এমএ হালিম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সাদী, নারীপক্ষের সভাপতি
সুবণার্ দেব নাথ, সানজিদা উষা, শিল্পী রাখাল চন্দ্র দাস, শাহীন মিয়া প্রমুখ। পরে মরহুমের স্মরণে বিশেষ দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের মৃত্যু হয় বলে সুপ্রিম কোটের্র মুখপাত্র ও হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। “তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে দেশের বাইরেও তার চিকিৎসা হয়েছে। সর্বশেষ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসাপাতালে উনার
চিকিৎসা চলছিল। বিচারপতি আমির হোসেনের বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। বিচারপতি আমির হোসেন ১৯৫৭ সালের ৩০ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের নিকলীতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি ও এল এল এম ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) হিসেবে তিনি নিয়োগ পান।
২০০৯ সালের ৬ মে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান আমির হোসেন।
গাজীপুরের জেলা জজ থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত বিচারক
হিসেবে তিনি হাই কোর্টে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর বিচারপতি আমির হোসেনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন এ বিচারক।
Leave a Reply