নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে শহর জুড়ে। এতে পুলিশসহ আহত হন অন্তত ২০ জন, আটক দুই। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে, আসবাবপত্রে আগুন দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। শহরের পুরানথানা ও একরামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ৩০ মার্চ সকাল ১১ টায় বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় উপস্থিত কিছু পুলিশ সদস্য তাদের চলে যেতে বলেন এবং বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে যান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে তারা পুরানথানা ও একরামপুর থেকে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে রেল লাইনের পাথর ও ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পুরো শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ঘন্টাব্যাপী দাওয়া পাল্টাদাওয়ায় রাস্তায় থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা টায়ার পুড়িয়ে এবং ফুটপাতে থাকা চা-দোকানের চেয়ার টেবিলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্ক সৃষ্টি হয় শহর জুড়ে।
এ সংঘর্ষের কারণ জানতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির কোন নেতা কর্মীকে পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঘঠনাস্থল খেকে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এবং পুলিশের উপর উপযুর্পরি পাথর এবং ইট পাটকেল ছোড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে র্যাব ও পুলিশ বাহিনী। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Leave a Reply