নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘনিয়ে আসছে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন।
বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহারে় ফুরফুরে আওয়ামীলিগ।
গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে সব প্রার্থী পুরোদমে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েন।
আগামী ১৬ জানুয়ারির ভোটের লড়াইয়ের সেই মাহেন্দ্র ক্ষণকে সামনে রেখে পুরোদুমে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা সবাই প্রচারণা চালাচ্ছন সমান তালে। সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতা করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রার্থীদের প্রচারণা জমে ওঠায় পুরো পৌর এলাকা ভোটের আমেজে মুখর হয়ে উঠেছে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ পারভেজ মিয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা দ্বিতীয় বার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ শফিকুল গনি ঢালী লিমন (স্বতন্ত্র) মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মোঃ ইসরাইল মিঞা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ও ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) মোঃ স্বপন মিয়া আম প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সংবাদে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে গোঠা পৌরসভায়। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপস্থিত জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ঢালী লিমন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা, শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি মহোদয়ের অনুরোধক্রমে আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলাম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও নৌকা প্রতীককে সমর্থন করলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. কামরুল আহসান শাহজাহান, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম.এ আফজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আজিজুল হক, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর আব্দুল করিম।
কিশোরগঞ্জ পৌর সভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৭১ হাজার ৮৪ জন। এতে পুরুষ ভোটার ৩৪ হাজার ২৮৫ জন ও মহিলা ভোটার ৩৬ হাজার ৭৯৯ জন।
আগামী ১৬ জানুয়ারি ২৮টি ভোটকেন্দ্রে ১৮৬টি ভোট কক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ।
Leave a Reply