নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার উজান ভরাটিয়া এলাকা হতে ২ (দুই) টি তক্ষক, নগদ-২১,০০০/- (একুশ হাজার) টাকা ও ১(এক) টি মোবাইল সেটসহ ১(এক) জনকে আটক করেছে র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানী কমান্ডার, উপ-পরিচালক,লেঃ কমান্ডার (বিএন) এম শোভন খান জানান- র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যপ্রাণী অবৈধভাবে বিক্রয় ও
পাচার সংক্রান্ত অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্যও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি অবৈধ বন্যপ্রাণী বিক্রয় চক্র দেশের
বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান হতে বন্যপ্রাণী শিকার করে অবৈধভাবে পাচারের জন্য
বিক্রয় করে আসছে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত অবৈধ বন্যপ্রাণী বিক্রয়
চক্রের উপর র্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা
পাওয়ায় ১১ জানুয়ারি বেলা অনুমান ১.০০ ঘটিকায় করিমগঞ্জের উজান ভরাটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি তক্ষক, নগদ- একুশ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেটসহ এক জনকে আটক করেছে র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী করিমগঞ্জ থানার গুণধর ইউনিয়নের উজান ভরাটিয়া গ্রামের -মৃত আব্দুর গফুরের পুত্র মতিউর
রহমান(৩৬)।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী তক্ষকগুলো রাঙ্গামাটি হতে সংগ্রহ করে বিক্রয় করে আসছিল বলে
স্বীকার করে। ধৃত ব্যক্তি আরও জানায় তক্ষকগুলো সে ৪০,০০০/-(চল্লিশ হাজার) টাকায় ক্রয় করে এবং প্রতিটি তক্ষক ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা মূল্যে বিক্রয়ের জন্য সংগ্রহ করে।
আসামীর বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানায়
বন্যপ্রাণী সংরক্ষন আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply