নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী চাঁন্দপুরে মাহতাব উদ্দিন মাতু মিয়া (৬০) নামে এক মৎস্য খামারের নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা।
সংবাদ পেয়ে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চাঁন্দপুর ইউনিয়নের নিমুকপুরুরা গ্রামের রেললাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে কটিয়াদি থানা পুলিশ।
চাঁন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহতাব উদ্দিন জানান, নিহত মাতু মিয়া চাঁন্দপুর ইউনিয়নের নিমুকপুরুরা গ্রামের সেলিম, আব্দুর রহমান, মজিবুর ও জসিমের অংশীদারী মৎস্য খামারে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। তিনি উপজেলার চাঁন্দপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাতু মিয়া মৎস্য খামারে পাহারা দিতে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মাতু মিয়ার ছেলে হৃদয় শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে মৎস্য খামারের কাছে রেললাইনের পাশে তার পিতার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করতে থাকলে তার পরিবার ও আশেপাশের লোকজন এসে জড়ো হয় এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখে পরিবার ও এলাকাবাসীর ধারণা অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা পুর্ব-পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে।
মাতু মিয়ার ছেলে হৃদয় জানায়, মৎস্য খামারের ভীতরে ও আশেপাশে প্রায় সময়ই কিছু নেশাখোর বিভিন্ন সময় নেশা করতে খামারের ভিতরে আসতো, তাতে আমার বাবা সবসময় বাধা দিতো এবং তাদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বলতো তোমরা আর এখানে আইসোনা, তোমরা এখানে যাতায়াত করলে পুলিশ একদিন আমাকেই ধরে নিয়ে যাবে। তাতেই আমার বাবার সাথে ওরা খারাপ আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার কথা বলতো।
কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা মৎস্য খামারের নৈশপ্রহরী মাতু মিয়াকে হত্যা করে রেললাইনের পাশে লাশ ফেলে রেখে যায়।
এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
Leave a Reply