ফরহাদ হোসেন চৌহালী প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের চৌহালী দক্ষিনাঞ্চলের বাঘুটিয়া ইউনিয়রের বিনানই মরা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় দ্বায়ে মুনছুর নামে এক ব্যবসায়ীর ড্রেজার পুরিয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত । বুধবার (২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে বারোটায় আফসানা ইয়াসমিন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, যমুনার ভাঙনে বিধ্বস্ত চৌহালী উপজেলার অবশিষ্ট অংশকে রাক্ষুসী যমুনার করালগ্রাস থেকে রক্ষায় সবাই যখন এক হয়ে কাজ করছে। ঠিক সে সময় বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই মরা নদীর তলদেশ থেকে স্থানীয় একটি বালু দস্যু চক্রের নেতৃত্বে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহৎসব। এতে হুমকির মুখে পড়েছে অসংখ্য বসত-বাড়ি, মসজিদ, কবরস্থান ও ফসলি জমি।
এদিকে চৌহালী উপজেলার কোথায়ও অনুমোদিত কোনো বালুমহল নেই এবং নদী থেকে বালু উত্তোলনে নেই প্রশাসনের অনুমতিও। তারপরও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই এলাকার মরা নদী থেকে ড্রেজারসহ দেশীয় পদ্ধতিতে বালু তুলে বিভিন্ন যায়গায় বিক্রি করছে । এতে বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি হাড়ানোদের নতুন আশ্রয় স্থল আবারও হুমকিতে পরার আশঙ্কা রয়েছে।
ভুক্তভোগী মির্জা রোরহান র উদ্দিন বলেন, আমার ২০ শতাংশ জমি ভেঙ্গে যাওয়ায় আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় ড্রেজারটি পুরিয়ে দিয়েছে। আমি ইউএনও স্যারের জন্য দোয়া করি উনি যেনো আমার মত গরীর মানুষের পাশে থাকেন।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা ইয়াসমিন জানান, চৌহালীতে কোন ইজারাকৃত বালু মহাল নেই। বিনানই এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার বিষয়ে এলাকাবাসির লিখিত অভিযোগ পাই। অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ড্রেজারটি ধ্বংস করে দেয়। এ অভিযান অব্যাহত খাকবে।