নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দে ১০ম ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ দিবস
পালিত হয়েছে। ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ কর জাতির কাছে তা তুলে ধর এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে আলোচনাসভা, মাস্ক
ও সাবান বিতরণ করা হয়েছে। মহিনন্দ নয়াপাড়া জামে মসজিদে সিরাত মাহফিলে আসা আগত
মুসুল্লীদের মধ্যে মাস্ক ও সাবান বিতরণ কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির
সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মোঃ আবুল হাসেম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ
পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক ও লেখক আমিনুল হক সাদী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ এনামুল হক শামীম,
ইউপি সদস্য মো.জয়নাল আবেদীন, আওয়ামীলীগ নেতা মস্তোফা, নয়াপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাও.
শাহজাহান, সমাজ কমর্ী মোঃ শামীম, নাঈম সিদ্দিক নিশাতসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এর আগে “ইতিহাসের আলোকে ১১ নভেম্বর” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য
সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক ও লেখক আমিনুল হক সাদী। তিনি জানান, ২০১০ সালের
১১ নভেম্বর তিলে তিলে সংগ্রহ করা তিলোত্তমা তথ্যসমৃদ্ধ মহিনন্দের ইতিকথা নামে একটি প্রকাশনা
বইয়ের উৎসবের আয়োজন করে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ। এতে রাষ্ট্রীয় সফরসূচিতে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক (উন্নয়ন ও সমন্বয়) সৈয়দা দীনা হক প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত থেকে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করার সম্মতি প্রকাশ করেন। সব প্রস্ততি যখন চুড়ান্ত
পর্যায়ে তখন নেতৃত্বের রেষারেষিতে কলম সৈনিকদের অগ্রাহ্য করে গ্রন্থ প্রকাশের ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা
চালায় একটি কুচক্রি মহল। শুধু তাই নয় সংগঠনের দায়িত্বশীলের শরীর থেকে রক্তও ঝরায়। কিন্তু একজন লেখক
কখনো নীতিহীন সন্ত্রাসীর কাছে পরাজিত হতে পারে না। তাই সে দিন ওই সময়ে সেই আলোচিত
মহিনন্দের ইতিকথা গ্রন্থটি মহিনন্দের পরিবর্তে বৌলাই সাহেববাড়িতে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে
নির্ধারিত প্রধান অতিথির মাধ্যমেই আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষে
প্রতি বছর এ সংগঠনটি ঐতিহ্য সংরক্ষণ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
Leave a Reply